যশোর প্রতিনিধি: যশোরের লালদীঘি পাড়ে প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যশোরে শুরু হয়েছে সূর্যপূজা। প্রতি বছর কালীপূজার পর শুক্লাপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে সূর্যদেবকে সন্তুষ্ট করতে এই পূজা করেন ভক্তরা। ঊষাডোবা লগ্নে রোববার (৩০ অক্টোবর ২০২২)যশোর লালদিঘি পাড়ে এই পূজার আয়োজন করা হয়। এতে কয়েক হাজার হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্য অংশ নেন। পুরোহিত ছিলেন মহাবীর বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, যশোরের লালদিঘি পাড়ে বিভিন্ন মানতপূরণে সনাতন ধর্ম বিশ্বাসীর হরিজন, রবিদাস ও রজকসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের পুণ্যার্থীদের সমাগম হয় সূর্যপূজা উপলক্ষে। লালদিঘি পাড় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে পুণ্যার্থীদের পদচারণায়।
এদিন বিকেলে পূজারিরা উপবাস থেকে পূজার বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে দণ্ডি কাটতে কাটতে লালদিঘি পাড়ে উপস্থিত হন। সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ মুহূর্তে পুণ্যার্থীরা দিঘিতে স্নান করে কোমর পানিতে দাঁড়িয়ে সূর্যের দিকে মুখ করে পূজা শুরু করেছেন পূজারীরা। হাতের কুলায় ছিল পূজার সরঞ্জাম। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে এ দিনের মতো পূজার সমাপ্তি ঘটে। সবাই বাড়িতে ফিরে যান। আজ সোমবার সূর্যোদয়ের আগে লালদিঘির পাড়ে উপস্থিত হয়ে একই নিয়মে পূজা শুরু করবেন তারা। সূর্য উঠলে দেবতা হিসেবে তাকে প্রণাম করে দিঘিতে স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এরপর শরবত পানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে এবছরের পূজা।
সরেজমিন দেখা গেছে, পূজা উপলক্ষে লালদিঘির পশ্চিমপাড়ে সুদৃশ্য তোরণ নির্মাণ ও বর্ণিল আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সূর্যপূজায় হরিজন সম্প্রদায়ের নারী, পুরুষ ও শিশু-কিশোররা উৎসবে মেতে ওঠেছে।
যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরন লাল বিশ্বাস জানান, যশোর পৌরসভার সার্বিক সহযোগিতায় লালদিঘিতে এ পুজো হচ্ছে। তিনি বলেন, জন্ম থেকেই দেখে আসছি এ লালদিঘিতে এ পুজো। যশোরে হরিজন সম্প্রদায় যখন থেকে অবস্থান করছে তখন থেকেই এ পুজো এখানে হচ্ছে বলে তিনি জানান।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।